Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

কাশিয়ানীতে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৬০৩জন দেখেছেন

Image

পরশ উজির, কাশিয়ানী: গোপালগঞ্জে কাশিয়ানীতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে জলিল মোল্লা (৬৮) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের বড়পারুলিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কাশিয়ানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওসি মো. ফিরোজ আলম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।

নিহত জলিল মোল্লার বাড়ি কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের বড়পারুলিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়,, রাতে পারুলিয়া বাজারের ঠান্ডু শেখের পুরির দোকানে বসে গল্প করছিলেন জলিল মোল্লা ও মঈন শরীফ। এ সময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির হলে এক পর্যায়ে মঈন শরীফ জলিল মোল্লাকে ধাক্কা দেয়। এতে নিচে পড়ে গিয়ে জলিল মোল্লা মারা যায়। বিষয়টি জানার পর পরিবারের লোকজন জলিল মোল্লার মরদেহ বাসায় নিয়ে আসে।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিস্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

তিনি আরো জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জলিল মোল্লার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।


আরও খবর



মহারণে বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : শঙ্কা ছিল বৃষ্টির। তবে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার সুপার ফোরের ম্যাচটা কেটেছে নির্বিঘ্নে। বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া থাকলেও কলম্বোতে কাল ছিল রৌদ্রজ্জ্বল দিন। আজ আবারও সেই একই শহরের একই মাঠে হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের আরও এক ধ্রুপদী ম্যাচ। যেখানে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দেশ ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে। 

এই ম্যাচের আগে আরও একবার প্রাধান্য পাচ্ছে বৃষ্টির আলোচনা। শ্রীলঙ্কান গণমাধ্যম আর আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য কোন সুখবর দেয়নি। রোববারেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলেই জানিয়েছে তারা। ম্যাচের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে ৮৫ শতাংশ। সারাদিন ঝড়ো হাওয়া বইবে, এমন কথাও জানাচ্ছে বিভিন্ন পূর্বাভাস। 

ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ শুরু হবে স্থানীয় সময় দুপুরে। যখন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে ৯২ থেকে ৯৪ শতাংশ পর্যন্ত। তবে বিকেল থেকে এর মাত্রা কমে আসতে পারে। যদিও সম্ভাব্যতার মাত্রা ৮০ শতাংশের আশেপাশেই থাকছে।

এর আগে প্রথম পর্বের ম্যাচেও পাল্লেকেলেতে ছিল বৃষ্টি। সেবার খেলার ২য় ইনিংস মাঠেই গড়ায়নি। হাত মিলিয়েই শেষ করেছিল ম্যাচ শেষ করেছিলেন দুই অধিনায়ক বাবর আজম এবং রোহিত শর্মা। হাইভোল্টেজ ম্যাচে এমন অপ্রত্যাশিত ইতি কাম্য নয়। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল তাই এই ম্যাচের জন্য রেখেছে রিজার্ভ ডে। 

কিন্তু ক্রিকেট ভক্তদের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রিজার্ভ ডে অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বরেও আছে বৃষ্টির শঙ্কা। সব ছাপিয়ে তাই প্রত্যাশা, কলম্বোতে আরও একটি রৌদ্রজ্জ্বল দিনের। প্রেমাদাসায় বৃষ্টির চেয়ে ব্যাট বলের লড়াইটা দেখার আশা সকলের। 


আরও খবর

তামিমকে নিয়ে যা বললেন মাশরাফি

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩




জওয়ানের নতুন রেকর্ড গদর ২-কে হারিয়ে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : বক্স অফিসে জওয়ান-এর এবার একের পর এক রেকর্ড ভাঙার পালা। ১৩ দিনেই ভারতের বক্স অফিসে ৫০০ কোটির গণ্ডি পার করে ফেলল শাহরুখ খানের সিনেমা। এবার শুরু সেরার মুকুট মাথায় পরার পালা। 

একটি রিপোর্ট বলছে, মঙ্গলবার জওয়ানের আয় হিন্দি, তামিল আর তেলুগু মিলিয়ে ১৪ কোটি। সোমবারেও তা ছিল ১৬.২৫ কোটি। কর্মব্যস্ত দিনে আবার দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে ১৪ কোটি কোনো অংশেই খারাপ নয়।  ১৩ দিনে ভারতের বাজার থেকে জওয়ানের মোট আয় ৫০৭.৮৮ কোটি। সোমবারেই ছবিটি টপকে গেছে কেজিএফ ২-কে। যা নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ। তিনি লেখেন, ‘কেজিএফ২-কে টপকে গেল। এবার বাহুবলী ২-এর পালা। ভারতের আয়ের ভিত্তিতে বর্তমানে চতুর্থ হিন্দি সিনেমা। 

তবে জওয়ান ৫০০ কোটির ঘরে ঢোকার রেকর্ড পাওয়ায় খুশি শাহরুখভক্তরা। এর আগে সবচেয়ে কম সময় লেগেছিল সানি দেওলের গদর ২-এর, ২৪ দিন। পাঠানের লেগেছিল ২৮ দিন। সেখানে জওয়ান তার প্রায় অর্ধেক সময় অর্থাৎ ১৩ দিনে ঢুকে গেল ৫০০ কোটিতে। আর শুধু হিন্দির জন্য জওয়ানের আয় ১৩ দিনে ৪৬০ কোটি।


আরও খবর

দুই আসনে লড়তে চান মাহিয়া মাহি

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




হার্ট অ্যাটাক বা হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

স্বাস্থ্য ডেস্ক : আধুনিক জীবনযাত্রার পদ্ধতি, পরিবর্তিত খাদ্যভ্যাস, নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ের অভাব শরীরে ডেকে আনে নানা অসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যত সময় গড়াচ্ছে তত বেশি করে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছেন সবাই। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা অসুখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে হৃদ্‌রোগ। তবু হৃদ‌্‌রোগের বিষয় এখনও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেই ধারণাই স্পষ্ট নয় অনেকের মধ্যে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো এমন একটি পরিস্থিতি, যখন হৃদ্‌পিণ্ড হঠাৎ করে শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃদ্‌পিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, এর ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় এবং শেষ পর্যন্ত অজ্ঞান হয়ে যান।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের উপসর্গ কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের একাধিক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক অন্যতম। জন্মগত হার্টের সমস্যা বা যাদের হৃদ্‌যন্ত্রের বৈদ্যুতিক সিস্টেমে সমস্যা রয়েছে, তাদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার সময়, রোগীরা হঠাৎ চেতনা হারিয়ে ফেলেন। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের আগে কিছু উপসর্গ দেখা যায়, যেমন বুকে হালকা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অস্বস্তি বোধ করা এবং মাথা ঘোরানো ইত্যাদি। তবে বেশির ভাগ মানুষই এই লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেন না, যার পরিণতি হয় মারাত্মক।

হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে তফাত কোথায়?

করোনারি ধমনীর মধ্যে যদি ব্লকেজ তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে হৃদ্‌পিণ্ডে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়। তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক হলে হৃদ‌যন্ত্র সম্পূর্ণভাবে কাজ করা বন্ধ করে না, তবে তার কাজ করার ক্ষমতা কমে আসে। অন্যদিকে, হঠাৎ করে যদি কোনও ব্যক্তির হৃদ্‌স্পন্দন পুরোপুরি থেমে যায়, তাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। সাধারণ ভাষায় যাকে চিকিৎসকরা তাকে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকও বলে থাকেন। এর ফলে দেহে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। নিশ্বাস-প্রশ্বাসও বন্ধ হয়ে যায় তৎক্ষণাৎ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয়।

হার্ট অ্যাটাক হলেই যে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তার কোনও মানে নেই। তবে বেশির ভাগ রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণ কিন্তু হার্ট অ্যাটাক। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট অন্যান্য অবস্থার কারণেও ঘটতে পারে, যেমন কার্ডিওমায়োপ্যাথি (পেশির রোগ) এবং ইলেক্ট্রোলাইট অস্বাভাবিকতা যা হৃদ্‌পিণ্ডের বৈদ্যুতিক সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে।

দিল্লির রাজীব গান্ধী হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. অজিত জৈন বলেছিলেন যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হার্ট অ্যাটাকের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। হার্ট অ্যাটাকের পরেও একজন ব্যক্তির জীবন বাঁচানো যায়। ছোটখাটো হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কম। হার্টের ধমনীতে ব্লকেজের কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়, কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃত্‍পিণ্ড হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এ কারণে মস্তিষ্কসহ শরীরের অন্যান্য অংশে অক্সিজেন সরবরাহ হয় না। অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায় এবং মস্তিষ্ক মৃত হয়ে যায়।

ডা. জৈন বলেছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। গত তিন বছরে এ সমস্যা বাড়ছে। এমনকি কম বয়সে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা মৃত্যু ঘটাচ্ছে।

AIIMS-এর কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. মিলিন্দ ব্যাখ্যা করেছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। যদি একজন ব্যক্তি এই ৪টি সমস্যার সম্মুখীন হন তবে এইগুলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণ। যেমন : হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, নাড়ি বন্ধ, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে।

ডা. মিলিন্দ বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পরপরই যদি কার্ডিওপালমোনারি রেজিস্ট্যান্স (সিপিআর) দেওয়া হয়, তাহলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। সিপিআরে ব্যক্তির বুকের মাঝের অংশে ধাক্কা দিতে হয়। এক মিনিটে ১০০ বারের বেশি পুশ করা হয়। এতে করে হৃত্‍পিণ্ড আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং রোগী হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা পায়।


আরও খবর

খেলেই বদহজম? ডিসপেপসিয়া কি না সতর্ক হোন

বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হালকা ব্যায়ামে দূর হয় বাতের ব্যথা

সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে ফায়ার সেফটি ছিল না

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। ফুটপাত ও সড়কে দোকান থাকায় ও মানুষের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে। পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে কৃষি মার্কেটে লাগা অগ্নিকাণ্ডস্থলে সাংবাদিকদের একথা বলেন ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর নতুন বাজারে (কৃষি মার্কেট) আগুন ধরার খবর পেয়ে ৯ মিনিটের মাথায় আমরা এখানে চলে আসি। রাত ৩টা ৫২ মিনিট থেকে আমরা এখানে আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করি। আমরা সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি। ১৭টি ইউনিটে ১৫০ জন ফায়ার ফাইটার কাজ করেছে। আমাদের সঙ্গে বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী সহযোগিতা করেছে।

তিনি বলেন, আগুন লাগা এই মার্কেটটিতে কোনো সেফটি প্ল্যান নেই। এই মার্কেটটিতে বারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে গণসংযোগ করা হয়েছে। সচেতনতার প্রোগ্রাম যেভাবে আমরা করেছি সেভাবে তারা সাড়া দেয়নি। এই মার্কেটটা কিছুটা বঙ্গবাজার টাইপের। এখানে ভেতরে অনেক সাবওয়ে ছিল ছোট ছোট। কিন্তু ছোট ছোট এবং ভেতরে যতগুলো রাস্তা এবং বাইরের যে ছোট ছোট রাস্তা পুরোটাই বিভিন্ন মালামালে দিয়ে গাদাগাদি করে রাস্তাটা বন্ধ করা ছিল। এবং পুরো মার্কেটটাই গেট দিয়ে আটকানো ছিল।

তাজুল ইসলাম বলেন, এখানকার নাইট গার্ড যারা ছিলেন তারা বাইরে ছিলেন। তাদেরকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ভেতরে ফায়ার ফাইটারদের প্রবেশ করতে আমাদেরকে বেগ পেতে হয়েছে। তালা ভেঙে এবং কলাপসিবল গেট ভেঙে আমাদেরকে ভেতরে গিয়ে তারপর আগুন নির্বাপণের কাজ করতে হয়েছে। এ মার্কেটের বাইরেও বিভিন্নভাবে রাস্তাগুলো দখল করা ছিল।

তিনি বলেন, দোকানের সামনে ছোটখাটো দোকান আমাদের একটা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলোর জন্য আমাদেরকে বেগ পেতে হয়েছে। আমরা আসার পরই আগুনের মাত্রা অনেক বেশি দেখেছি। একটা পর্যায়ে মার্কেটের প্রায় চার ভাগের তিনভাগ সম্পূর্ণ আগুন ধরে যায় এবং আমরা চেষ্টা করি এই মার্কেটের ভেতরে যেন আগুনটা আবদ্ধ থাকে। আমাদের ফায়ার ফাইটাররা সর্বাত্মক চেষ্টা করে আগুনটাকে একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখতে পেরেছে।

আমরা এখন যেটা করছি আগুনটা সম্পূর্ণ নির্বাপণের চেষ্টা চলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে তবে নির্বাপণে কিছুটা সময় লাগবে।

এর আগে আগুন লেগেছিল, তখন কী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেননি? জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি সপ্তাহের শনিবার গণসংযোগ করি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মার্কেটের প্রতিনিধিদেরকে ডেকে আমরা অনেকবার আলোচনা করেছি, অনেক ওয়ার্কশপ করেছি। মার্কেটের যারা মালিকপক্ষ তাদেরকে ডেকে আমরা বুঝিয়েছি সচেতনতার প্রোগ্রাম আমরা কীভাবে করবো।

প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিং ওনাদেরকেই করতে হবে। এই মার্কেটে প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ইকুইপমেন্টই ছিল না। কোনো ধরনের পানির সোর্স ছিল না। আমরা সবচেয়ে বেশি বেগ পেয়েছি পানির সোর্স। এখানে বিভিন্ন ভবনে পানির সোর্স রয়েছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। খুব দ্রুত আমাদের পানি শেষ হয়ে যায়। আমরা বিশেষ পানির গাড়ি এনে এবং অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় এই কার্যক্রমগুলো করি।

আগুন নেভানোর এত সময় লাগার আরও বড় কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগুন নেভানোর আরেকটি বড় কারণ ছিল মানুষের ভিড়। মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের পুলিশ বিজিবি খুবই হিমশিম খেয়েছে। এই ভিড়ের কারণে আমাদের এত সময় লেগেছে। যদিও মানুষ চেষ্টা করতে চায় আমাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য কিন্তু আদৌ এটা আমাদের অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত আমরা তদন্ত করে দেখার চেষ্টা করবো জানার জন্য। তবে যতটুকু বুঝেছি মুদির দোকানের যেই অংশটি ছিল ওই অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যারা ছিল তাদের দুই একজন কিছুটা আহত হয়েছে। এর বাইরে কোনো বড় ধরনের হতাহতের তথ্য নেই।


আরও খবর



মমতাজের বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে ভারতের মুর্শিদাবাদে। চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এ পরোয়ারা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।  

এই মামলায় মমতাজের বিরুদ্ধে এর আগেও তিন বার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এর পর তিনি মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। 

আদালতের নির্দেশ মোতাবেক, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর মমতাজকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে।  

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ৯ আগস্ট মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল মমতাজের। ৮ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মমতাজের মামলার চার্জ গঠন করা হবে। সেই দিন মমতাজ উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। এর পরেই মমতাজ বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে একটি আবেদনপত্র আদালতে দাখিল করে জানান, ওই সময়ে তিনি কানাডায় একটি অনুষ্ঠানে থাকবেন। ফলে তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হবে না। মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওই আবেদন খারিজ করে দিয়ে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন। 

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে— মুর্শিদাবাদে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তা শক্তিশঙ্কর বাগচীর সঙ্গে মমতাজের লিখিত চুক্তি হয়। সেই চুক্তি মোতাবেক শক্তিশঙ্করের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মমতাজ নিয়মিত অংশ নিতেন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৪ লাখ টাকায় মুর্শিদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শিল্পীর। তিনি অগ্রিম টাকাও নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি মমতাজ। এর পরেই শক্তিশঙ্কর চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার ভিত্তিতে আদালত পরবর্তী সময়ে সমন জারি করে। 

এর আগেও তামিলনাড়ুর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে মমতাজের বিরুদ্ধে। সেই মামলা এখনও তামিলনাড়ুর আদালতে বিচারাধীন।


আরও খবর

দুই আসনে লড়তে চান মাহিয়া মাহি

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩