Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মিথ্যা মামলার ছোবল থেকে রেহাই পেতে দিলরুবা বেগমের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৩৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাড়ির পানি নিষ্কাশনের ঘটনা নিয়ে মিথ্যা মামলা নিয়ে জেলহাজতে বাস করছেন রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ডিঙ্গাডোবা ঘোষমহাল এলাকার সোনা আমিন বাবু।

৮ ডিসেম্বর দুপুরে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দিলরুবা বেগম অভিযোগ করে বলেন  তার প্রতিবেশি পুলিশের অবসর প্রাপ্ত উপ পরিদর্শক (এস আই) আকতার জোরপুর্বক তাদের বাড়ির পানি নিষ্কাশনের পাইপটি ভেঙ্গে ফেলেন। এই ঘটনায় আকতারকে বাধা দিতে গেলে আকতার রাজপাড়া থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক ( এস আই ) মাহাফুজকে নিয়ে এসে হুমকি ধামকি প্রদান করেন।

দিলরুবা বেগম বলেন এমন ঘটনা নিয়ে দিলরুবা বেগম রাজপাড়া থানায় মামলা করতে গেলে রাজপাড়া থানা পুলিশ তার মামলা গ্রহণ করে নাই। আকতার বাদি হয়ে  দিলরুবা বেগমের স্বামী সোনা আমিন বাবু তার শ্বশুর ৭৫ বছরের বৃদ্ধ বনি আমিন,দিলরুবা বেগম সহ কয়েকজনকে আসামি করে একটি নাটকীয়  চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় দিলরুবা বেগম আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসলেও তার স্বামী সোনা আমিন বাবু রয়েছেন জেলহাজতে।

তিনি বলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তি মিথ্যা মামলায় জেলহাজতে থাকার কারনে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। অপর দিকে প্রভাবশালী আকতার বিভিন্ন ভাবে আমাদের আবার হুমকি ধামকি প্রদান করছেন।

৭৫ বছরের বৃদ্ধা বনি আমিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন এই বয়সে আমি নড়াচড়া করতে  রিতিমত হিমশিম খাই, আর আমার নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করে আমাকে  কোর্টে নিয়েছেন এর জন্য আল্লাহকে বিচার দিয়েছি।

দিলরুবা বেগমের মেয়ে বলেন আকতার পুলিশের চাকরি থেকে অবসরে যেয়েও তার ভেতর থেকে পুলিশের ভাব যায়নি। তিনি বলেন ডিঙ্গাডোবা ঘোষ মহাল এলাকায় তার আচরনে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এমন ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন তিনি। একজন অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য থানা পুলিশের  সাথে আতাত করে কোন  নিরহ মানুষকে  যেন মিথ্যা ষড়যন্ত্র মুলক মামলায় ফাঁসাতে না পারেন সেই বিষয়ে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নির্যাতিতার মেয়ে।

অপর দিকে রাজপাড়া থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই ) মাহফুজ তাদের বাড়িতে জোরপুর্বক প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করা সহ সরাসরি আকতারের পক্ষে (এস আই) মাহফুজ  কাজ করার বিষয় নিয়ে শংকিত রয়েছে দিলরুবার পরিবার। তাদের ধারণা যে কোন সময় তাদের আবারো কোন নাটকীয় মামলায় হয়রানি করা হবে।

জানতে চেয়ে রাজপাড়া থানার উপ পরিদর্শক ( এস আই ) মাহফুজকে মুঠো ফোনে ফোন করলে তিনি বলেন আকতার রহমানের করা মামলায় আমি তদন্তে গুয়েছি এটি সত্য। তবে হুমকি ধামকির কোন ঘটনা ঘটেনি।


আরও খবর



স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে যান তিনি। সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির সিনিয়র নেতারাও উপস্থিত আছেন।

গতকাল দলের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।


আরও খবর



রোজা ফরজ হওয়ার রহস্য ও তাৎপর্য

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

মহান প্রভু কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া (খোদাভীতি) অর্জন করতে পার। (সুরা বাকারা-১৮৩)। 

তাকওয়া অর্জন হওয়ার জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে। তাকওয়া আরবি শব্দ। এর ভাবার্থ হলো, খোদাভীতি, আত্মরক্ষা ইত্যাদি। শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহতায়ালার ভয়ভীতি নিয়ে তাঁর নির্দেশসমূহ পালন করা এবং নিষেধাজ্ঞাসমূহ থেকে বেঁচে থাকার নাম হলো, ‘তাকওয়া’। যে ব্যক্তির তাকওয়া যত বেশি আল্লাহর কাছে তার সম্মান ততই বেশি। 

আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত ওই ব্যক্তি যে তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা তাকওয়ার অধিকারী’। (সুরা হুজরাত-১৩)। তাকওয়া এবং খোদাভীতি মানুষকে পরিশুদ্ধ করে, আলোকিত করে, সৎকাজে উৎসাহ জোগায় এবং পাপাচার বর্জন করার প্রেরণা সৃষ্টি করে। তাকওয়া অর্জনের ফলে একটি মানুষ অন্যায়-অনাচার, সুদ-ঘুষ বর্জন করতে পারে। গড়ে উঠতে পারে একটি আদর্শ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা। আর এই মহৎ গুণটি অর্জনের শ্রেষ্ঠ ও সহজ উপায় হলো রোজা রাখা। 

কারণ রোজা হলো নির্দিষ্ট সময়ে কিছু কাজ বর্জন করা। যে ব্যক্তি দিনের বেলায় ওই কাজগুলো বর্জন করবে সে সত্যিকারার্থে আল্লাহর ভয়েই বর্জন করবে। এভাবে তার অন্তরে আল্লাহর প্রতি অকৃত্রিম ভয়ভীতি বৃদ্ধি পাবে। এক পর্যায়ে তার অন্তরে আল্লাহর ভয়ভীতি জাগ্রত হওয়ার ফলে সে সব ধরনের অন্যায় ও পাপাচার বর্জনে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। এ লক্ষ্য নিয়ে রমজানের রোজা আদায় করতে সক্ষম হলে সার্থক হবে আমাদের সাধনা। 

সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা). ফরমান, যেদিন তোমাদের কেউ রোজা রাখে, তখন রোজা অবস্থায় সে যেন অশ্লীলতা, অনৈতিকতা ও ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে না যায়। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা হত্যা করে তখন সে বলবে আমি রোজাদার মানুষ। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)। 

অপর হাদিসে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও এ অনুযায়ী কর্মত্যাগ করেনি তার পানাহার বর্জন করা আল্লাহর জন্য কোনো প্রয়োজন নেই। (সহিহ বুখারি)। এই পবিত্র রমজান মাসে যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগি যথাযথভাবে পালন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করতে হবে। নিজেকে বিরত রাখতে হবে সব ধরনের দুর্নীতি, পাপাচার, মিথ্যা এবং অন্যায় অপকর্ম থেকে।

এ মাসের প্রতিটা মুহূর্তই সংযম সাধনায় নিবেদিত করতে হবে। বিশেষ করে কোরআন অবতরণের এই মাসে কোরআনে কারিমের বিশুদ্ধ তিলাওয়াত হলো উত্তম একটি আমল। আর দিনের বেলায় রোজা এবং রাতে তারাবির নামাজ আদায়ে বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে। ফেরেশতাকুল সম্রাট জিবরাইল (আ.) প্রতি বছর রমজানে মহানবী (সা.)-এর কাছে আগমন করতেন, রসুলুল্লাহ (সা.) তাকে কোরআন শুনাতেন। (সহিহ মুসলিম)

মহানবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে পুণ্য হিসেবে রমজানের রোজা পালন করবে তার পেছনের সব পাপ ক্ষমা করা হবে। (সহিহ বুখারি সহিহ মুসলিম)। অপর হাদিসে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের স্বার্থে পুণ্য হিসেবে রমজানের নামাজ (তারাবিহ) আদায় করবে তার পেছনের সব পাপ ক্ষমা করা হবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)।


আরও খবর

অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




চকরিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ট্রেন দেখতে গিয়ে কাটা পড়ে জান্নাতুল ফেরদৌসি (১৬) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার সকাল ৭টার দিকে দোহাজারী-কক্সবাজার রেল সড়কের চকরিয়ার খুটাখালী নলবনিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত জান্নাতুল ফেরদৌসি খুটাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মেধাকচ্ছপিয়া  ৩ নম্বর ওয়ার্ড দূর্বারমাট এলাকার মো. শহীদুল্লাহর মেয়ে।

তার স্বজন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল আওয়াল বলেন, সেহেরি খেয়ে মায়ের সাথে নামাজ পড়ে ফেরদৌসি। পরে মা ঘুমিয়ে পড়লে সে ঘর থেকে বের হয়ে রেল দেখতে খুটাখালী নলবনিয়া এলাকায় যায়। এ সময় ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। 

পরে খবর পেয়ে কক্সবাজার রেলওয়ে থানার এসআই জাফর আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদরহাসপাতালে প্রেরণ করেন।


আরও খবর



তুচ্ছ ঘটনায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

কুমিল্লার চান্দিনায় গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হলেন হানিফ মিয়া (৩৫)। বুধবার চান্দিনা উপজেলা সদরের আনিছ মোহাম্মদের বাড়িতে (আনিছা বাড়ি) এ ঘটনা ঘটে। নিহত হানিফ মিয়া ওই এলাকার আনু মিয়ার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় হানিফ। হত্যাকারী আনিছ মিয়া নিহতের আপন ছোট ভাই। 

প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, তারা দুই ভাইয়ের পৃথক গরুর খামার আছে। বাড়ির পাশে অন্যের খালি জায়গায় দুই ভাই দীর্ঘদিন যাবৎ গরুর গোবর ফেলে আসছে। বুধবার দুপুরে ওই স্থানে গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। চরম উত্তেজনার মধ্যে মেঝ ভাই আনিছ মিয়া বড় ভাই হানিফ মিয়াকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে কাঠের চোখা টুকরো দিয়ে আঘাত করায় ওই কাঠের চোখা অংশ বাম চোখের ভিতর দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়। তাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান জানান, তার শরীরের বিভিন্ন অংশের ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ ও মস্তিস্কে আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপর হত্যাকারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাসহ হত্যাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 


আরও খবর



অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

গুনাহ মানুষের অন্তরে মরিচা ফেলে। ফলে মানুষের অন্তর পাপপ্রবণ হয়ে ওঠে। ইবাদতে অনিহা সৃষ্টি হয়। ভালো কাজে অবহেলা বাড়ে, মন্দ কাজে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

তাই অন্তরে যাতে মরিচা না পড়ে কিংবা পড়লেও তা যাতে দ্রুত পরিষ্কার করা যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। অন্তরের মরিচা দূর করার পদ্ধতিও নবীজি (সা.) শিখিয়ে দিয়েছেন। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো : বেশি বেশি তাওবা-ইস্তেগফার করা : ইস্তেগফার অন্তরের মরিচা দূর করে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। তাই মুমিনের উচিত, অন্তরের পরিচ্ছন্নতার জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। 

আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-ও এই আমল করতেন। ইরশাদ হয়েছে, আগার আল-মুজানি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কখনো কখনো আমার অন্তরের ওপরও মরিচা পড়ে। তাই আমি দৈনিক এক শবার ক্ষমা চাই। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৫) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বান্দা যখন একটি গুনাহ করে তখন তার অন্তরের মধ্যে একটি কালো চিহ্ন পড়ে।

অতঃপর যখন সে গুনাহর কাজ পরিহার করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাওবা করে, তার অন্তর তখন পরিষ্কার ও দাগমুক্ত হয়ে যায়। সে আবার পাপ করলে তার অন্তরে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তার পুরো অন্তর এভাবে কালো দাগে ঢেকে যায়। এটাই সেই মরিচা, আল্লাহ তাআলা যার বর্ণনা করেছেন, ‘কখনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের মনে জং (মরিচা) ধরিয়েছে।’ (সুরা মুত্বাফফিফীন : ১৪)।  (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৩৪)

মৃত্যুর স্মরণ ও কোরআন তিলাওয়াত : এ দুটি আমলও অন্তরের মরিচা পরিষ্কার করে।অন্তরে মহান আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধি করে। তাই নবীজি (সা.) অন্তরের শুদ্ধতার জন্য সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি এই আমলগুলো করার তাগিদ দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই হৃদয়ে মরিচা ধরে, যেভাবে পানি লাগলে লোহায় মরিচা ধরে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, এ মরিচা দূর করার উপায় কী? তিনি (সা.) বলেন, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা ও কোরআন তিলাওয়াত করা। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৮৫৯)

ফিতনা এড়িয়ে চলা : ফিতনা-ফাসাদ মানুষের অন্তরকে কলুষিত করে। মুমিনের উচিত সর্বদা ফিতনা এড়িয়ে চলা। অন্তরকে পরিশুদ্ধ রাখার চেষ্টা করা। হুজাইফা (রা.) বলেন, একদিন আমরা উমার (রা.)-এর কাছে ছিলাম। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.)-কে ফিতনা সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছ? উপস্থিত একদল বলেন, আমরা শুনেছি। উমার (রা.) বলেন, তোমরা হয়তো একজনের পরিবার ও প্রতিবেশীর ফিতনার কথা মনে করেছ। তারা বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, নামাজ, রোজা ও সদকার মাধ্যমে এগুলোর কাফফারাহ হয়ে যায়। কিন্তু তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.) থেকে বড় বড় ফিতনার কথা বর্ণনা করতে শুনেছ, যা সমুদ্র তরঙ্গের মতো ধেয়ে আসবে। হুজাইফা (রা.) বলেন, প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল। আমি বললাম, আমি (শুনেছি)। উমার (রা.) বলেন, তুমি শুনেছ, মাশাআল্লাহ। 

হুজাইফা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, চাটাই বুননের মতো এক এক করে ফিতনা মানুষের অন্তরে আসতে থাকে। যে অন্তরে তা গেঁথে যায় তাতে একটি করে কালো দাগ পড়ে। আর যে অন্তর তা প্রত্যাখ্যান করবে তাতে একটি উজ্জ্বল দাগ পড়বে। এমনি করে দুটি অন্তর দুই ধরনের হয়ে যায়। এটি সাদা পাথরের মতো; আসমান ও জমিন যত দিন থাকবে তত দিন কোনো ফিতনা তার কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর অপরটি হয়ে যায় উল্টানো সাদা মিশ্রিত কলসির মতো, তার প্রবৃত্তির মধ্যে যা গেছে তা ছাড়া ভালো-মন্দ বলতে সে কিছুই চিনে না।


আরও খবর