নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাড়ির পানি নিষ্কাশনের ঘটনা নিয়ে মিথ্যা মামলা নিয়ে জেলহাজতে বাস করছেন রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ডিঙ্গাডোবা ঘোষমহাল এলাকার সোনা আমিন বাবু।
৮ ডিসেম্বর দুপুরে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দিলরুবা বেগম অভিযোগ করে বলেন তার প্রতিবেশি পুলিশের অবসর প্রাপ্ত উপ পরিদর্শক (এস আই) আকতার জোরপুর্বক তাদের বাড়ির পানি নিষ্কাশনের পাইপটি ভেঙ্গে ফেলেন। এই ঘটনায় আকতারকে বাধা দিতে গেলে আকতার রাজপাড়া থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক ( এস আই ) মাহাফুজকে নিয়ে এসে হুমকি ধামকি প্রদান করেন।
দিলরুবা বেগম বলেন এমন ঘটনা নিয়ে দিলরুবা বেগম রাজপাড়া থানায় মামলা করতে গেলে রাজপাড়া থানা পুলিশ তার মামলা গ্রহণ করে নাই। আকতার বাদি হয়ে দিলরুবা বেগমের স্বামী সোনা আমিন বাবু তার শ্বশুর ৭৫ বছরের বৃদ্ধ বনি আমিন,দিলরুবা বেগম সহ কয়েকজনকে আসামি করে একটি নাটকীয় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় দিলরুবা বেগম আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসলেও তার স্বামী সোনা আমিন বাবু রয়েছেন জেলহাজতে।
তিনি বলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তি মিথ্যা মামলায় জেলহাজতে থাকার কারনে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। অপর দিকে প্রভাবশালী আকতার বিভিন্ন ভাবে আমাদের আবার হুমকি ধামকি প্রদান করছেন।
৭৫ বছরের বৃদ্ধা বনি আমিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন এই বয়সে আমি নড়াচড়া করতে রিতিমত হিমশিম খাই, আর আমার নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করে আমাকে কোর্টে নিয়েছেন এর জন্য আল্লাহকে বিচার দিয়েছি।
দিলরুবা বেগমের মেয়ে বলেন আকতার পুলিশের চাকরি থেকে অবসরে যেয়েও তার ভেতর থেকে পুলিশের ভাব যায়নি। তিনি বলেন ডিঙ্গাডোবা ঘোষ মহাল এলাকায় তার আচরনে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এমন ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন তিনি। একজন অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য থানা পুলিশের সাথে আতাত করে কোন নিরহ মানুষকে যেন মিথ্যা ষড়যন্ত্র মুলক মামলায় ফাঁসাতে না পারেন সেই বিষয়ে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নির্যাতিতার মেয়ে।
অপর দিকে রাজপাড়া থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই ) মাহফুজ তাদের বাড়িতে জোরপুর্বক প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করা সহ সরাসরি আকতারের পক্ষে (এস আই) মাহফুজ কাজ করার বিষয় নিয়ে শংকিত রয়েছে দিলরুবার পরিবার। তাদের ধারণা যে কোন সময় তাদের আবারো কোন নাটকীয় মামলায় হয়রানি করা হবে।
জানতে চেয়ে রাজপাড়া থানার উপ পরিদর্শক ( এস আই ) মাহফুজকে মুঠো ফোনে ফোন করলে তিনি বলেন আকতার রহমানের করা মামলায় আমি তদন্তে গুয়েছি এটি সত্য। তবে হুমকি ধামকির কোন ঘটনা ঘটেনি।