পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর বিএনপি পন্থী শিক্ষকদের সাদা দলের এক সময়ের প্রভাবশালী সদস্য প্রফেসর ফজলুল হক।
২০০৫ সালের বিএনপির ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ ওয়াহিদ-উ-জামানের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে পরিচিত। তৎকালিন সময়ে সাদা দলের সদস্য থাকা কালে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ক্রয় কমিটির সদস্য, পরিবহন কর্মকর্তাসহ ৭টি গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্বে থেকে কোটি পতি বনে যান। সাদা দলের নেতা ও ভিসির পিএস কবিরুল ইসলামের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে কোটি টাকা কামিয়ে নেন।
ফজলুল হক মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান থাকাকালে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে। সম্প্রতি তিনি ভোল পাল্টিয়ে আওয়ামিলীগের তকমা ধারণ করেন। ইতিমধ্যে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য , সেন্ট্রাল ল্যাবের পরিচালক সহ ৫টি গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৯ সালে ভিসি হারুনর রশীদের আমলে সেন্ট্রাল ল্যাবের পরিচালক থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে ৩ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি পরায়ন শিক্ষক হিসাবে তিনি সমধিক পরিচিত। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং দুমকী উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন সভা ও অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি ছিল। শেরপুর মহিলা আওয়ামিলীগের জনৈক নেত্রী মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রী কার্যালয়ের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে ১ কোটি ঘুষ দিয়ে এ দুর্নীতি পরায়ন শিক্ষক পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে নিয়োগ পাবার দৌড়ঝাপ করছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে প্রফেসর ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।